ডিটেকটিভ ডেস্কঃঃ
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরো ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট প্রাণহানি দাঁড়াল ২৭ হাজার ৩৬৮ জনে। এই সময়ে নমুনা পরীক্ষা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৭ হাজার ১৪১। নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ২৩৩। পরীক্ষা বিবেচনায় গত ২৪ ঘন্টার শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর শুক্রবার প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানায়, দেশে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছে ১৫ লাখ ৪৯ হাজার ৫৫৩ জন রোগী। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ ১ হাজার ৪১৩ জন নিয়ে মোট সুস্থের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫ লাখ ০৯ হাজার ২০২ জনে।
বৃহস্পতিবার দেশে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর দৈনিক সংখ্যাআরো কিছুটা কমে আসার খবর জানানো হয়েছিল। বুধাবর সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আরো ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা ২৭ মের পর সবচেয়ে কম। সেদিন ২২ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ সময়ে ২৪ হাজার ৮২০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ১৪৪ জন। যা গত ২৯ মের পর সবচেয়ে কম। সেদিন ১ হাজার ৪৩ জন নতুন রোগী শনাক্তের তথ্য দিয়েছিলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এরপর ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের দাপটে দেশে শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকে। জুলাই মাসে এক দিনে শনাক্ত রোগী ১৬ হাজারও ছাড়িয়ে যায়। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারে দেশে সংক্রমণ বাড়তে থাকলে অগাস্ট মাসে এক দিনে মৃত্যুর সংখ্যা আড়াইশও ছাড়িয়ে গিয়েছিল। গত কিছুদিন ধরে সংক্রমণের হার কমার সঙ্গে সঙ্গে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও কমছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার আজও পাঁচ শতাংশের নিচে। আজ শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। গতকালও শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ। আগের দিনেও ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছিল ৩৬ জনের। নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল ১ হাজার ৩৭৬ জন।
এর আগে সর্বশেষ শনাক্তের হার পাঁচের নিচে ছিল ৮ মার্চ। সেদিন শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ শতাংশ। আর বুধবারের চেয়ে কম শনাক্তের হার ছিল সর্বেশষ ৭ মার্চ। সেদিন নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ৩ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৪ হাজার ৮২০। এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছে ১৫ লাখ ৪৮ হাজার ৩২০ জন। ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৬৫৩ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ ১৫ লাখ ৭ হাজার ৭৮৯ জন। মোট প্রাণহানি ২৭ হাজার ৩৩৭ জনে দাঁড়াল।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়। কয়েক মাসের মধ্যে এ ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। এরপর বিভিন্ন সময়ে সংক্রমণ কমবেশি হলেও গত জুন থেকে করোনার ডেলটা ধরনের দাপটে সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ে।
//ইয়াসিন//